Tuesday , November 5 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নতুন ভিসা নীতি বাস্তবায়ন শুরু: কিছু বাংলাদেশিকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনল যুক্তরাষ্ট্র

নতুন ভিসা নীতি বাস্তবায়ন শুরু: কিছু বাংলাদেশিকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ‘বাধাগ্রস্ত’ করে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িতদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করতে নতুন যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল, তার প্রয়োগ শুরু করেছে দেশটির সরকার।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছে।

এই ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হতে পারে। মার্কিন আইনে স্বামী/স্ত্রী, সন্তান এবং পিতামাতাকে নিকটাত্মীয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তবে কতজন ব্যক্তি বা কার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিবৃতিতে প্রকাশ করেননি মুখপাত্র।

ম্যাথু মিলার বলেন,  “বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে পারেন, আমাদের আজকের এই পদক্ষেপ তাদের সহযোগিতার অঙ্গীকারের অংশ।” ।”

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। এই নীতির অধীনে বাংলাদেশ ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের মার্কিন ভিসা দেবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

তখন ঘোষণা করা হয় যে বর্তমান এবং প্রাক্তন বাংলাদেশী কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই বিধিনিষেধের অধীন থাকবে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কী অন্তর্ভুক্ত থাকবে তার রূপরেখা তুলে ধরে ব্লিঙ্কেন সেই সময়ে বলেছিলেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজগুলির মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।”

অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(a)(৩)(c) এর অধীনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন।

About Nasimul Islam

Check Also

ড. ইউনূস আমাকে ফোন করে আশ্বস্ত করেছেন: সোহেল তাজ

জাতীয় চার নেতা হত্যার দিন ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সহ তিনটি দাবি জানিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *