Monday , October 7 2024
Home / Countrywide / ট্রাফিকের দায়িত্ব নেন ২ শিক্ষার্থী, জানালেন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা (ভিডিও)

ট্রাফিকের দায়িত্ব নেন ২ শিক্ষার্থী, জানালেন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা (ভিডিও)

রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এলাকা হতে মেরুলের দিকে নেমে যাওয়ার সময় সেতুর ঢালের দিকে হাতিরঝিলের দিক থেকে আরেকটি রাস্তা এসে মিশেছে। যানবাহনের চাপ এইখানে প্রায় অধিক সময় ধরে থাকে তাই এই স্থানটিতে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। এই সংযোগ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্যও মোতায়েন থাকে। গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে স্কুল ইউনিফর্ম পরা দুই শিক্ষার্থীকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। জানতে চাওয়া হলে তাদের মধ্যে একজন বলেন, পুলি’শ কিছু সময়ের জন্য বিরতিতে গিয়েছে, কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে এখানে যানযট পড়ে গেছে। তাই আমরা এখানে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা দিলেও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দেখা যায়, বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের দুই শিক্ষার্থী হাতিরঝিল ও রামপুরা সংযোগ সড়কে ট্রাফিক পু’লিশের কাজ করছে। রামপুরা থেকে আসা গাড়ি আটকে দিয়ে হাতিরঝিল থেকে আসা গাড়ি ছাড়ছে, আবার হাতির ঝিল থেকে আসা গাড়ি আটকে দিয়ে রামপুরা থেকে আসা গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে। কিছু কিছু গাড়ি ইশারা না মানায় তাদের সঙ্গে বাগবিত’ণ্ডাও হচ্ছে তাদের।

এসময় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। আন্দোলনও শেষ, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা তো ট্রাফিক পুলি’শের দায়িত্ব- এমন প্রশ্নে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী বলে, পুলি’শ একটু বিরতিতে গেছে। এজন্য আমি ও আমার এক সিনিয়র মিলে এখানে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছি।

রাস্তায় ট্রাফিকের ভূমিকায় থেকে কী মনে হচ্ছে? মানুষ কতটুকু নিয়ম মেনে চলে? এমন প্রশ্নে ওই শিক্ষার্থীর বক্তব্য, সাধারণ মানুষ খুবই অসচেতন। সিগন্যাল মানতেই চান না। তাদের সিগন্যাল দেওয়া হলেও গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড় দেন। এখানে উভয়েরই দোষ আছে। অনেক গাড়ির চালকও সিগন্যাল মানতে চান না। গাড়ি টান দেন।

গত সোমবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর রাতের দিকে রামপুরায় একজন শিক্ষার্থীকে বাসচাপা দেওয়ায় নিহত হওয়ার পর তার সহপাঠী ও সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হওয়ার পর বেশ কিছু সংখ্যক গাড়ি ভাঙচুর ও আ’গুন দেয়। এর পরের দিন মঙ্গলবার সকালের দিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় সড়ক অবরোধ করতে শরু করে। সকাল ১০টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তারা সড়কে নেমে অবস্থান করে। এ সময় তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। এছাড়া তারা সেই সময় জরুরি লেন খোলার মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সসহ যেসকল জরুরি পরিবহন সেগুলো ছেড়ে দেয়।

About

Check Also

দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দুই বছর আগে জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *