Friday , December 13 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ”ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না”

”ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম। কিন্তু আমি বাংলাদেশের গ্যাস বহির্বিশ্বের কাছে বিক্রি করতে রাজি হইনি, তাই একটি চক্র আমাকে পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। ক্ষমতার স্বার্থে দেশের সম্পদ কারো হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা উন্নয়ন দেখে না। আমি তাদের বলব যে ঢাকায় একটি উচ্চমানের চক্ষু ইন্সটিটিউট আছে, যেখানে আপনি মাত্র ১০ টাকায় চোখের পরীক্ষা করাতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্বের দিন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের উদ্বোধন করেন। এই স্টেশন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার।

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দরপত্র হলে দোহাজারী-চকরিয়া ও চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুটি লটে নির্মাণ কাজ পায় চীনা কোম্পানি সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় কোম্পানি তমা কনস্ট্রাকশন।

কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সে হিসেবে ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন অনুমোদনের পর প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হচ্ছে। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অর্থায়ন করে।

এছাড়া কক্সবাজারে ৫৩ হাজার কোটি টাকার আরও ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। এগুলো হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্প। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ, ক্যানেল লাইনিং এপ্রোচ রোড এবং কক্সবাজার সদরে ব্রিজ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দ্বারা বাস্তবায়নাধীন ৩টি প্রকল্প রয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

মাত্র ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ দখলের হুমকি, উত্তেজনা পশ্চিমবঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ‍্যালঘু সেলের মালদা জেলা সভাপতি টিঙ্কু রহমান বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিতর্কিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *