বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগ জানায়, “দলটির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণজাগরণ গড়ে তুলতে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
অনলাইন পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
– ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, সারা দেশে সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে মশাল মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে
– ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল সফল করার জন্য
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো যাচ্ছে
—–
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। দেশের জনগণ এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। অগণতান্ত্রিক এই ফ্যাসিস্ট সরকার দমন-পীড়নের মাধ্যমে যতই ভয়ের রাজত্ব কায়েম করুক না কেন, জনগণ সোৎসাহে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া সম্বলিত এই লিফটলেট বিতরণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তারাও এই লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই কর্মসূচির সার্থকতা বহন করে। অন্যদিকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে কঠোরভাবে বাধা প্রদান করছে, নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে
এবং গণগ্রেফতার করছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের এ হেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয় দেখিয়ে ও তাদের বিরুদ্ধে গণগ্রেফতার পরিচালনা করে এই কর্মসূচি রুখা যাবে না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আকাঙ্ক্ষার প্রতি লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লিফলেট প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জমায়েত ‘বিশ্ব ইজতেমা’-র কারণে ১৬ ফেব্রুয়ারির অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, সারা দেশে সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে মশাল মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল সফল করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন একসময় সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভে রূপ নেয়, যার ফলে অভ্যুত্থান ঘটে। এই আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়। জনগণ এই সহিংসতার জন্য মূলত শেখ হাসিনার সরকারকেই দায়ী করছে।