Wednesday , November 6 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কত ভাগ ভোট পড়লে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক, জানালেন হেভিওয়েট নেতারা

কত ভাগ ভোট পড়লে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক, জানালেন হেভিওয়েট নেতারা

বর্তমান বাস্তবতায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়লে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন তারা।

ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে নতুন কৌশলও ঘোষণা করেছেন দলটির নেতারা। এছাড়া ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু করতে পারলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না বলেও তাদের অভিমত।

প্রতীক পাওয়ার পর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে বাবা সাবেক মেয়র হানিফের কবর জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন। লাঙ্গলের ফিরোজ রশিদ এ আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও খোকন পিছিয়ে নেই।

তিনি বলেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। আর কোনো মহল বিরোধিতা করলেও ভোটাররা নির্বাচনে আসবে।

খোকন আরও বলেন, শুধুমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের অবরুদ্ধ করা ছাড়া, দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে। সব কিছু চলছে, সুতরাং বার বার যে শঙ্কার কথাটা আসছে, এটা আমি গুরুত্ব দিতে চাই না। এখন যেমন মানুষ চলাফেরা করছেন, ৭ জানুয়ারিতেও তারা ভোট কেন্দ্রে আসবেন।

তবে বাস্তবতা কী আসলেই তাই। এইতো সেদিন ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মাত্র ১১ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. এ আরাফাত। সেক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচনে ভোটের হিসাবটা কীভাবে কষছেন তিনি।

আরাফাত জানান, এ আসনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটার থাকলেও নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন মাত্র আড়াই লাখ ভোটার। সেই হিসাবে ১১ শতাংশই বিশ ভাগের বেশি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মিডিয়া সেলের সাব কমিটির সমন্বয়ক নিজেদের গবেষণার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি এলাকায় প্রায় ১৫-২০ ভাগ ভোটার স্থানান্তরিত হয়েছে। যাদের কেন্দ্রে আসার সম্ভাবনা কম। তাই আসছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৫-৩০ ভাগ ভোট পড়লেই তা হবে আদর্শ।

তিনি আরও বলেন, প্রায় সাড়ে তিন লাখভোটার থাকলেও নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছে আড়াই লাখ ভোটার। যখন এ হিসাবটা করা হচ্ছে,তখন কিন্তু কমে আসছে। ৬০ থেকে ৬৫ হাজার ভোটার নাই বা ছিলই না। তাহলে সাড়ে ১১ শতাংশ থাকে না। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট আসে; তাহলে এটাই আদর্শ।

কিন্তু প্রতিরোধ ও আসন বণ্টনের ডাকের পর এবারের নির্বাচনে ভোটার আনতে ক্ষমতাসীন দল কী করবে?

আরাফাত বলেন, সবার আগে দলের প্রতিটি কর্মী ও তাদের পরিবারের ভোট নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য ঘরে বসেই আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে ভোট বিরোধী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভোটার উপস্থিতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

আরাফাত আরও বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০ জনের মতো কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির সদস্য রয়েছে ৬ হাজার ২০০ জন। প্রত্যেকে যদি তার পরিবারের দুই সদস্যকে নিয়ে আসে, এবং প্রতিবেশীদের নিয়ে আসে; তাই প্রথম এক থেকে দুই ঘণ্টায় আনুমানিক ২৫ থেকে ২৬ হাজার ভোট পড়বে বলে এখানে একটি অনুমান। আমরা এটা করতে পারি.

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবকটিতেই ভোট পড়েছে ৮০.৪ শতাংশ। গত মাসের ১৫ তারিখ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল অনুযায়ী-
নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল ও মনোনয়নপত্র নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা, চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট হচ্ছে ৭ জানুয়ারি।

 

 

About bisso Jit

Check Also

শেখ হাসিনার সংস্পর্শে দুর্বল হয়ে যাই : সোহেল তাজ

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *