মৃত্যু খুবই সাধারণ একটি বিষয়। এর থেকে চিরন্তন সত্য আর কি আছে? স্বাধের এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে একদিন সবাইকে পরপারে পাড়ি জমাতে হবে। তবে এরপরও কিছু কিছু মৃত্যু যেন মে ( May )নে নেওয়া যায় না কোনো ভাবেই। গতকাল ( Yesterday ) মঙ্গলবার (৩১ মে ( May )) গান গাইতে গাইতে মঞ্চেউ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সঙ্গীতশিল্পী কেকে। তার মৃত্যুর খবরে বিনোদন পাড়ায় নেমে ( May ) এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে লম্বা এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।
স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
১৯৯৫ সালের ( year ) বিজয় দিবসে ”এক সেকেন্ডের নাই ভরসা” গানটি গাইতে গাইতে মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফিরোজ সাঁই। কী হয়েছিল? স্ট্রোক। স্ট্রোক থেকে মৃত্যু। সত্যি এক সেকেন্ডের নাই ভরসা। গতকাল ( Yesterday ) কলকাতার নজরুল ( Nazrul ) মঞ্চে গান গাইতে গাইতে ঠিক নয়, তবে কনসার্ট থেকে হোটেলে পৌঁছাতেই মারা যান সঙ্গীতশিল্পী কে.কে. ( KK )
মালায়ালম শিল্পী এদাভা বশিরও তিন দিন আগে গান করতে করতে মঞ্চে মারা যান। মঞ্চে পারফর্ম করতে গিয়ে মারা গেছেন বিশ্বের অনেক অভিনেতা, শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ। সত্য, এক সেকেন্ডের জন্য কোন ভরসা নেই।
কেকে-র বয়স এমন কিছু নয়, মনে হয় নিয়মিত ওয়ার্ক আউট বডি, স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন, তা হলে কী হবে, যে ফিরোজ সাঁই গেয়েছেন, এক সেকেন্ডেরও ভরসা নেই। কেউ একটি ভাল জীবনধারা বজায় রাখে কিন্তু তাড়াহুড়ো করে চলে যায়, কেউ কেউ কিছু না করে ৯৯ বছর বেঁচে থাকে।
জিনের রোগ শোক আছে, এর আরেক নাম নিয়তি হতে পারে। এটা অবমূল্যায়ন করা যাবে না. আমি মনে করি দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করার চেয়ে হঠাৎ মারা যাওয়া অনেক ভালো।
কেকের শোতে প্রচুর শ্রোতা এসেছেন, তিনি অনেক সমর্থন পেয়েছেন, অনেক ভালবাসা পেয়েছেন। তখন নিশ্চয়ই তার মন ভালো অনুভূতিতে ভরে গেছে। হৃদয় আনন্দে নেচে উঠল। এই সুখানুভূতি নিয়ে যদি মৃত্যু হয়, তবে সেই মৃত্যু সওয়া যায়। কেউ ভালোবাসে না, কেউ আসে না কাছে, কেউ নেই কোথাও, শুধু দুঃখ, শুধুই বেদনা, শুধুই হতাশা; এমন সময় যখন মৃত্যু আসে, সেই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে দেখা দিয়েছে নতুন মোড়। তার মৃত্যু সাধারণ নয় বলে দাবি করে থানায় একটি মামলাও করা হয়েছে। আর এ মামলার আলোকে বিষয়টি খুতিয়ে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।