বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চায়, কিন্তু জনগণ যখন চাইবে তখন হরতাল অবরোধ সম্পূর্ণ হবে। আশা করি সরকারের সদিচ্ছা ফুটে উঠবে। শান্তিপূর্ণভাবে দশ দফা দাবি মেনে নেবে।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার বিকেলে-রাতে অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম-স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে প্রাথমিকভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার শুরু থেকেই উস্কানি দিয়ে সং/ঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কর্মসূচির দেওয়া পর এবার পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, সরকার দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে চাইছে, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বিএনপি নয়, সং/ঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সং/ঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করছে।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি ইউনিয়ন পর্যায়ে পাল্টা কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি তদন্তের দাবিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতা দখল করে পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপির আন্দোলন দমনের ষ/ড়যন্ত্র করছে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দাবি করা হয়, পুলিশ যেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ায়।
ফখরুল বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ব্যাহত করার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি দুই দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি সংহতি ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন ও আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।