Saturday , October 5 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আলিশান বাড়ি থেকে এখন বস্তিতে এই নায়িকা, তার সন্তান বড় হচ্ছে এতিমখানায়

আলিশান বাড়ি থেকে এখন বস্তিতে এই নায়িকা, তার সন্তান বড় হচ্ছে এতিমখানায়

নব্বই দশকের আগের অনেক নায়িকা হারিয়ে গেয়েছে। অনেক আভিযাত্যে রয়েছেন, কেউ প্রয়াত হয়েছে, তো কেউ ভুগছে দরিদ্রতায়। যখন শুনা যায় একজন নায়িকা তার সর্বোশ্য হারিয়ে এখন দরিদ্রতা ভুগছে তখন অনেকেই অবাক হয় যেটা সাভাবিক। এমনি ঘটেছে সেই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাহিনার সাথে।

তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। তার আসল নাম সাহিনা আখতার। ছোটবেলায় যখন তিনি পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতেন, কেউ বলেছেন তাকে দেখতে সুচরিতার মতো, আবার কেউ বলেছেন তাকে দেখতে নতুন নায়িকার মতো। এসব শুনে ছোটবেলা থেকেই তার মনে নায়ক হওয়া উচিত। কিন্তু 12 বা 13 বছর বয়সে তিনি শ্যামল কুমারের কণ্ঠকে বিয়ে করেন। এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী বনশ্রীর কথা। সুবচন নাট্য সংসদে যোগদানের পর, বনশ্রী 1990 এর দশকে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ, ঢাকা মহিলা সমিতি মঞ্চের দর্শকদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

১৯৯৬ সালে সোহরাব-রুস্তম ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এ সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এরপর নেশা, মহাভূমিকম, প্রেম বিসর্জন, ভাগ্যের পারিহাস সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। কিন্তু তার জীবনের রঙিন গল্প ছিল স্বল্পস্থায়ী।

কারণ বনশ্রী দারিদ্র্যের খপ্পরে পড়ে শাহবাগে বই-ফুল বিক্রি করে। এক সময় আলিশান একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করলেও বর্তমানে মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকের একটি বস্তিতে থাকেন। আমি যখন তার সাথে কথা বলি, তিনি আমাকে বলেছিলেন যে প্রোডাকশন হাউসের মালিক মোহাম্মদ ফারুক ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ করার পরে তিনি আমাকে বাংলা সিনেমায় সুযোগ দিয়েছেন।

তবে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখার শর্ত দেন তিনি। তাই বিয়ের কথা গোপন রেখে ছবির কাজ শুরু করেছি। ইলিয়াস কাঞ্চন, মান্না, রুবেল, অমিত হাসানসহ আরও অনেকের সঙ্গে চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছি। তবে আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার অনাগত সন্তান আমাকে বাধা দেয়। বনশ্রী গর্ভবতী হয়েছিলেন যখন তার ক্যারিয়ারের উন্নতি হচ্ছিল।

বনশ্রী মা হতে রাজি না হলেও ডাক্তার বলেছেন, তার বাচ্চা অনেক বড় হয়ে গেছে। আপনি যদি এখন এটি নষ্ট করেন তবে ভবিষ্যতে আপনার সন্তান হবে না। তাই তাকে মা হতে বাধ্য করা হয়। শ্রাবন্তী কন্যা পৃথিবীতে আসে। এরপর বনশ্রী কিছুদিন চলচ্চিত্রে কাজ করলেও পরে কাজ বন্ধ করে দেন। সিনেমা থেকে দূরে সরে যান। পরে তার একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু সংসারও ভেঙে যায়। সিনেমায় এত বিখ্যাত হওয়ার পরও বই বিক্রি বা ফুল বিক্রি করতে হবে কেন?

জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত, আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে যান। আমি আমার মেয়ে শ্রাবন্তীকে হারিয়েছি। মোহাম্মদপুর এলাকায় আসার সময় আমিও ছোট ছিলাম। একমাত্র ছেলে তার কোলে ছিল। দস্যুরা এলাকায় নানা সমস্যা সৃষ্টি করত। দুই মাসের বেশি কোনো বাড়িতে থাকতে পারিনি। এক সময় টাকা ফুরিয়ে যায়। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। তারপর তারা আমাকে রাস্তায় নেমে বই বিক্রি করতে এবং তারপর ফুল বিক্রি করতে বাধ্য করে।

বনশ্রী আরও বলেন: আমি যখন নায়ক ছিলাম তখন একবার ঢাকা ক্লাবে যেতাম। জীবন ভাই ওখানে চাকরি করতেন। একদিন তিনি আমাকে রাস্তায় দেখে ফুল বিক্রির কাজ দেন। মাঝে মাঝে মানিকগঞ্জের মাদকাসক্তি পুনর্বাসন নিবাস আপনের কাছে মানসিক চিকিৎসা নেন। আর ছেলেটিকে বর্তমানে সাভারের একটি এতিমখানায় বড় করা হচ্ছে। তিনি জানান, সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ইলিয়াস কাঞ্চন, চ্যানেল আই, অভিনেতা ও প্রযোজক অনন্ত জলিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সহায়তা করেছে।

এই সাহায্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অসুস্থতা ও দারিদ্র্যের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই সাহায্য করেছেন। তবে সেই সাহায্যের পরিমাণ ছিল সামান্য। সবার সহযোগিতায় এখন ভাড়ায় বেঁচে থাকতে পারছি। আমি এখন অসুস্থ. আমি ফুলের ব্যবসার সাথে জড়িত। ভবিষ্যতে শাহবাগে ফুলের দোকান খোলার স্বপ্ন দেখেন বনশ্রী।

উল্লেখ্য, সুধু যে সাহানা এমন ঘটনায় ভুক্তভোগি তা নয়, সে ছাড়া আরো অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী দারিদ্রতা নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছে। কিছুদিন আগেই একটি খবরে প্রকাশিত হয়েছে ছিল প্রাক্তন অভিনেত্রী বিউটির ও একই অবস্থা। পা ভাঙ্গা অবস্থায় এফিডিসিতে সাহায্যের জন্য বসে আছে । তবে তাকে কেউ সাহায্য করছে না।

About Nasimul Islam

Check Also

‘লেনদেনের খবর অসত্য, আমি স্যামস্যাং ফোন ব্যবহার করি’: মোখলেস উর রহমান

একটি দৈনিকে ডিসি নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত খবর মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *