Monday , December 30 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আবুলের টার্গেট ছিল তালাকপ্রাপ্ত-বিধবা নারী

আবুলের টার্গেট ছিল তালাকপ্রাপ্ত-বিধবা নারী

বিভিন্ন সময় দেখা যায় নারীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু প্রতারক চক্র আছে যারা বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায় স্বামীর অবর্তমান অবস্থা এর সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে তাদের থেকে অর্থ সম্পদ আদায় করাটাই এদের মূল উদ্দেশ্য

আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা আবুল হোসেন (৫৪)। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বেশি বেতনে চাকরি, বিলাসবহুল জীবন-যাপনসহ বিনামূল্যে হজ করানোর কথা বলে বেকার, অল্পশিক্ষিত, অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীদের টার্গেট করতেন। সারাদেশেই তাঁর দালাল চক্র রয়েছে। এসব অপকর্মে নিজের বৈধ প্রতিষ্ঠান কনকর্ড অ্যাপেক্স রিক্রুটিং এজেন্সির সাইনবোর্ড ব্যবহার করতেন।

রবিবার (৭ আগস্ট) নয়া পল্টনের সিটি হার্ট শপিং কমপ্লেক্সের ৬ষ্ঠ তলায় কনকর্ড এ্যাপেক্স রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন ও তার সহযোগী আলেয়া বেগমকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। তাদের কাছ থেকে ৩১টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ডকুমেন্ট, ২টি মোবাইল, ৩টি সীমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। অভিযানকালে ৩ জন নারী ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আবুল হোসেন আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি নিজের বৈধ প্রতিষ্ঠানের আড়ালে নারী পাচার ও নির্যাতনের মতো জঘন্য অপকর্ম করছিলেন। তাঁর এ কাজের অন্যতম সহযোগী আলেয়া বেগম। এ ছাড়া অসংখ্য দালাল রয়েছে।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, আবুল হোসেন দালালদের মাধ্যমে মূলত সমাজের বেকার, অল্পশিক্ষিত, অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারগুলোর বিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে ও নারীদের মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অধিক বেতনে চাকরি, বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা, রাজকীয় থাকা-খাওয়ার সুবিধা, স্মার্টফোন দেওয়া এবং সৌদিতে হজ করানোর মতো ধর্মভিত্তিক লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার করতেন। এভাবে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়ার পর প্রথমে আবুলের চক্রটি নারীদের জানালাবিহীন কক্ষে আটকে রাখে এবং দুই-তিন দিন পর সেসব দেশের নাগরিকরা ভুক্তভোগীদের পছন্দ করে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের দিয়ে সব ধরনের কাজ করানো, খাবারের উচ্ছৃষ্ট খেতে দেওয়া বা কোনো খাবার খেতে না দেওয়া এবং অকারণে মারধরের মাধ্যমে অমানবিক নির্যাতন করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল হোসেন ও আলেয়া বেগম র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে কেউ বিদেশ যেতে রাজি হলে আইনি ঝামেলা এড়াতে বিদেশ যাত্রী ও পরিবারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে টিপসই নিয়ে রাখতেন। পরে তাতে নিজেদের সুবিধামতো চুক্তিপত্র টাইপ করে নিতেন।

বিভিন্ন সময় দেখা যায় দেশে প্রতারণার বিভিন্ন ঘটনা ঘটে চলেছে কিছু শ্রেণীর মানুষ আছে যারা এই প্রতারণা করে অন্য মানুষের সম্পদ হাতিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছে প্রতিনিয়ত এই প্রতারক চক্র মানুষকে বোকা বানাচ্ছে এবং স্বার্থন্বেষী হয়ে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে।

About Rasel Khalifa

Check Also

কোহিনূরের পর বিশ্বের সবচেয়ে দামি হীরা দরিয়া-ই-নূর বিদেশে পাচার করেছিল শেখ হাসিনা

ঢাকার নবাবি আমলের মহামূল্যবান হীরকখণ্ড ‘দরিয়া-ই-নূর’ নিয়ে রহস্য আজও অমীমাংসিত। ২০১৬ সালে সোনালী ব্যাংক সদরঘাট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *