চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। রাজীব ভট্টাচার্য্য নামে ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তির পরিচয় উন্মোচন করা হলেও, কোথা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিংবা তার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং ছবি দেখে রাজীবকে শনাক্ত করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের সঙ্গে রাজীবও হামলায় জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছিল, আলিফ হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রাজীব একজন। তবে, বাকি পাঁচজনের বিষয়ে পুলিশ কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
মঙ্গলবার, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার পরবর্তী জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রাতেই নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং জনগণকে শান্ত থাকার ও অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ না নেয়ার আহ্বান জানান।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে চট্টগ্রামসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, মঙ্গলবারের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করেছে, যার মধ্যে ইসকনের ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম সিনেমা হল ও কোতয়ালি মোড়ে হামলার ঘটনায় মামলাগুলো করেছে।
এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতি কর্মবিরতি পালন করছে।