ভিক্ষাবৃতি মানুষের কাছে অন্যতম লজ্জার একটি বিষয়। তারপরেও সমাজের একেবারে নিম্মস্তরে বাস করা মানুষেরা এই পেশার সাথে নিজেদের জড়িয়ে নেন। তবে সম্প্রতি এমন একটি খবর শোনা গেল যা হয়রান করে দিয়েছে মানুষকে।সকাল-সন্ধ্যা হাত পাতেন মানুষের কাছে। ভিক্ষা করাই তার পেশা। মধ্যবয়স্ক এই ভরত জৈন ভারতীয় ভিখারীদের মধ্যে কুলশ্রেষ্ঠ। শুধু ভিক্ষা করে মাসে তার আয় পঁচাত্তর হাজার টাকা। সত্তর লক্ষ টাকা দিয়ে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।

আরো পড়ুন

Error: No articles to display

ল্যাপটপ চালাতে সিদ্ধহস্ত এই ভিক্ষুক বললেন, লজ্জার কি আছে। অন্য চাকরির মতো এটাও আমার পেশা। ভিক্ষা চাইবার অভিনব কলাকৌশল আমাকে আয়ত্ত করতে হয়েছে।

ভরত জৈন একটা গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন! কিন্তু, গাড়ি চালিয়ে এসে ভিক্ষা চাইলে কেউ কি আর দেবে? ভরতের সাফ উত্তর, চালিয়ে আসবো কেন? ড্রাইভার স্পট এর কিছু দূরে নামিয়ে দেবে। লোকে সোফার নিয়ে কাজে আসে না?
এদিকে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন কলকাতার লক্ষ্মী। তার দিনে আয় একহাজার টাকা করে। মাসিক আয় তিরিশ হাজার। বারো বছর বয়সে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু। এখন বয়স চৌষট্টি। লক্ষ্মী বললেন, ভাগ্যিস আমাদের পেশায় রিটায়ারমেন্ট নেই।

মুম্বাইয়ের চারনি রোডের গীতা তালিকায় তৃতীয়। যদিও তাঁর আয় দিনপ্রতি দেড় হাজার। কিন্তু লক্ষ্মীর মতো পেশায় দীর্ঘদিন নয় বলেই তাঁকে তৃতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।

চতুর্থ স্থানে আছে পাটনা রেলওয়ে স্টেশনের ভিক্ষুক পাপ্পু। পাপ্পুও দেড়হাজার টাকা দিনে আয় করে। ফ্ল্যাটও কিনেছেন। কিন্তু, কমদিনের পেশা বলে চার নম্বরে।

এ দিকে এই ঘটনা গুলো গণমাধ্যমে আসার পর থেকে এসব নিয়ে বেশ ট্রল শুরু হয় সবখানে। বিশেষ করে এমন এমন সব ভিক্ষুকদের খবর পেয়ে অনেকেই হয়েছেন অবাক। আবার অনেকেই করেছেন এ সব নিয়ে মজা।

News Page Below Ad

আরো পড়ুন

Error: No articles to display