মুক্তমত
Hits: 892
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট ড. আসিফ নজরুল। সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কন্ঠ তোলা একজন ব্যক্তিত্ব,টিভি টকশো ও তার কলামে সাহসী রাজনীতি বিশ্লেষণের জন্য তিনি বিশেষভাবে খ্যাত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো:-
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছি। কতো বছর ধরে, কি পজিশনে, এখন বেতন কতো এটা উল্লেখ করে একটা সনদ দরকার। এই সনদ বের করতে হলে কতো দিন লাগে জানেন? প্রায় পাঁচ দিন। কপাল খারাপ থাকলে আরো বেশি দিন। কারণ, এই মর্মে আমার আবেদনটিকে পার হতে হয় ১৪টি ধাপ।
আরো পড়ুন
Error: No articles to display
ধাপগুলো এমন: বিভাগীয় চেয়ারম্যান- রেজিস্ট্রার (নোট লেখার জন্য পাঠাবেন)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার- অফিস সহকারী (তার লেখা নোট ফিরতি পদে যাবে)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রার।
এরপর এই অতি সামান্য জিনিস পাঠাতে হবে ভিসির কাছে। তিনি অনুমোদন দেয়ার পর ফাইলের পুনরায় যাত্রা-রেজিস্ট্রার (এবার সনদটি লেখার জন্য পাঠাবেন)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার-অফিস সহকারী- এরপর আবার সনদে স্বাক্ষরের জন্য ডেপুটি রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রার।
রেজিস্ট্রার চিঠি স্বাক্ষরের পর তা যাবে ডেসপ্যাচ সেকশনে। সেখানে তা যাবে নির্দিষ্ট পিওনের কাছে। তিনি বেলা এগারটার পরে এ চিঠি পান তাহলে আমি তা পাবো পরদিন সকালে। এ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল। অথচ আমার সরাসরি আবেদন পৌঁছানোর পর ডিজিটালি তথ্য ব্যবহার করে রেজিস্ট্রারের একজন কর্মচারী এটা তৈরি করে তার স্বাক্ষর নিলে মোট সময় লাগার কথা বড় জোর ৩০ মিনিট।
প্রসঙ্গত, আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে আবার সেখানেই অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। বাংলাদেশের যে কোন অরাজকতা আর সমসাময়িক সমালোচিত বিষয়গুলো নিয়ে তিনি সর্বদা কথা বলে থাকেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে প্রায়ই দেখা যায়। আসিফ নজরুল বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে তার ফেসবুকে পোষ্টে প্রায়সই কথা বলে থাকেন।শুধু ফেসবুক নয় বাংলাদেশের প্রায় সব টেলিভিশনেই তিনি টক শো অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে তার মতামত জানান।